আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল  হাতিরঝিলসহ তিন প্রকল্প 





দক্ষিণ এশিয়ার প্রকৃতিভিত্তিক ১৪টি সেরা প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করেছে পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্লাইমেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নলেজ নেটওয়ার্ক (সিডিকেএন)। এতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের তিনটি প্রকল্প।

রাজধানীর হাতিরঝিল, রংপুরের কারুপল্লী ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের মাধুরছড়াকে দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ সিডিকেএনের তালিকায় স্থান পেয়েছে। গত নভেম্বরে প্রকাশিত ‘দক্ষিণ এশিয়ার শহরে জলবায়ুসহিষ্ণু ও প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের আরও চারটি উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়। প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএনের প্রকৃতি সুরক্ষার শর্ত মেনে নির্মাণ করা অবকাঠামোকে ওই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের ৯টি এবং নেপালের ২টি প্রকল্প সিডিকেএনের এ তালিকায় স্থান পেয়েছে।

আইইউসিএন, বাংলাদেশের এদেশীয় পরিচালক রাকিবুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, সিডিকেএনের তালিকায় বাংলাদেশের তিনটি প্রকল্প স্থান পেয়েছে। এর বাইরে চট্টগ্রামের কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড), কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দ্বীপের উপকূলে সামুদ্রিক শৈবাল ও ঝিনুকের আস্তরণে তৈরি বাঁধ, ঢাকার শহরের ছাদে গড়ে ওঠা বাগান ইত্যাদি পরিবেশবান্ধব অবকাঠামোর বেশ কয়েকটি শর্ত পূরণ করেছে।


ঢাকা মহানগরে মোট ৬০টি খাল ছিল। গত ৫০ বছরে এ নগরের ৩৩ শতাংশ খাল, ৫৩ শতাংশ নিম্নাঞ্চল ও ৩০ শতাংশ জলাভূমি ভরাট হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ডব্লিইডব্লিইউএফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা শহর বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা শহর।

১৯৬০ সাল পর্যন্ত হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ি খাল ঢাকার নৌপথে চলাচলের অন্যতম জলাশয় ছিল। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে খালটি অন্যতম বর্জ্য ফেলার স্থানে পরিণত হয়। প্রায় দুই হাজার দখলদার ওই খালটিতে অবকাঠামো, বাড়িঘর ও বস্তি নির্মাণ করে। সরকার ওই খালকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে ৩০৩ একর জলাভূমি নিয়ে ২০০৭ সালে হাতিরঝিল প্রকল্প গ্রহণ করে।


প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত ওই প্রকল্পের সুবিধা এখন ঢাকার মানুষ পাচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক ও দুই পাশের ফুটপাত নির্মাণ করা হয়। ৪০০ মিটার ওভারপাস, শিশুদের পার্ক, হাঁটার জায়গা, সবুজ এলাকাসহ আরও অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়।